নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য এবারের কয়েকদফা বন্যা এবং করোনা অতিমারিকেই দায়ি করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তবে, বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান আরো নিয়মিত এবং কঠোর করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যথেষ্ট পরিমাণ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন না থাকলে মূল্য স্থিতিশীল রাখা অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সমস্যায় পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের বাজারের তালিকায় থাকা চাল, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল এবং আলুর দাম বেড়েছে। সবজির দামেও টানা চড়াভাব। সরকারি তথ্য অনুযায়ি করোনায় দেশে মানুষের আয় গড়ে প্রায় ২০ ভাগ কমেছে। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রেতাদের জন্য। অভিযোগ ওঠেছে, বাজার জিম্মি হয়ে পড়েছে আমদানীকারক ও পাইকারদের সিন্ডিকেটের কাছে। কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এমন অভিযোগ মানতে নারাজ বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানালেন, মোট ১৭টি নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও এর মধ্যে আলুর মতো অনেক পণ্যই নেই। মন্ত্রী বলছেন, মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর করোনার কারণে দামে এমন অস্থিরতা। তারপরও খোলা বাজারে কম মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে।
বাজারে জিনিসপত্রের দাম ক্রেতার নাগালে রাখতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং আরও বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।